খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) পরিচালিত জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাট এখনও জমে উঠেনি। বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হাটে গরুর সংখ্যা এবং ক্রেতা দুটোই কম ছিল। তবে আজ বিকাল থেকে গরু আমদানি বাড়বে বলে আশা করছে কেসিসি।
গত ১ জুন থেকে নগরীর জোড়াগেটে কোরবানীর পশুর হাট শুরু হয়। সাধারণ ঈদের আগের দুইদিন হাট জমে ওঠে। আজ বুধবার সকাল ৯টা . পর্যন্ত হাটে ৭৮টি গরু এবং ৪৭টি ছাগল বিক্রি হয়েছে।
গতবছর ২০২৪ সালে এই হাটে ৬ হাজার ২৬৮টি কোরবানীর পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯৮২টি গরু, ২ হাজার ১৬২টি ছাগল, ১২২টি ভেড়া এবং দুটি মহিষ। এ থেকে কেসিসির রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫২৭ টাকা।
বুধবার সকালে হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরু আমদানি অন্যান্য বছরের তুলনায় কম। হাটে ভারতীয় কোনো গরু নেই। খুলনাসহ পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে আনা গরুর সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগ গরু বড় তাই দামও চড়া।
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যাপারি সোলায়মান শেখ জানান, হাটে বিক্রির জন্য ৫টি গরু এনেছেন। আরও ৮টি গরু বাড়িতে রয়েছে। দাম ভালো পেলে এই হাটে আনবেন, না হলে কাল সকালে ঢাকায় নিয়ে যাবেন। প্রতিটি গরু দুই লাখ টাকা করে দাম নির্ধারণ করেছেন তিনি।
কেসিসির হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও এস্টেট অফিসার শেখ সালাউদ্দিন জানান, হাটে বিভিন্ন উপজেলা থেকে গরু আসছে। শহরের মানুষের গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। এজন্য ২/৩ দিন আগে হাটে বিক্রি বাড়ে। ক্রেতার সুবিধার জন্য এবছর হাসিল ১ শতাংশ কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে। কাল থেকে পুরো দমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশা করেন
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট ১৬৯টি পশুর হাট বসেছে। এর মধ্যে স্থায়ী হাটের সংখ্যা ১২০টি এবং অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৪৯টি। হাটগুলোর মধ্যে খুলনায় ২২টি, বাগেরহাটে ৩৩, সাতক্ষীরায় ১৫, যশোরে ১৯, ঝিনাইদহে ২২, মাগুরায় ১৯, নড়াইলে ৮, কুষ্টিয়ায় ১৭, চুয়াডাঙ্গায় ৮ এবং মেহেরপুরে ৬টি হাট স্থাপন করা হয়েছে। খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যেই এই হাটগুলোতে পশু আনতে শুরু করেছেন।
খুলনা গেজেট/হিমালয়